ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের উপদেষ্টা পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলীসহ কয়েকশ’ শ্রমিক।  

এর আগে ০৮ ডিসেম্বর স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।

এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বাংলানিউজকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। মহান বিজয় দিবসের সম্মানে এবং খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অবস্থান ধর্মঘটে না গিয়ে দু’দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের পরে আবারও সংবাদ সম্মেলন করে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করা হবে।

খনির মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শরিফুল ইসলাম অবস্থান ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক কয়লা খনিতে কাজ করে আসছেন। তাদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় সারফেজে ২৯৭ টাকা ও ভূ-গর্ভে ৩৫০ টাকা। মাসে একজন শ্রমিক ১৮-২০ দিনের বেশি কাজ করতে পারে না। ফলে মাস শেষে তাদের বেতন দেওয়া হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে তারা অনেক কষ্টে দিনযাপন করেন।

খনির বর্তমান এমএন্ডপি চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি সঙ্গে আগামী ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চুক্তি শেষ হবে। ইতোমধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ এমএন্ডপি ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

২০১১ সালে খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিলো খনির এমএন্ডপি ঠিকাদারের সঙ্গে পরবর্তী চুক্তির সময় তাদের চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু শ্রমিকদের চাকরি স্থানীয়করণের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় ০৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৪১ জন খনি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ও সংবাদ সম্মেলন করে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬
এজি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।