ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিড়িয়াখানায় বিজয়ের রঙ

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
চিড়িয়াখানায় বিজয়ের রঙ ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

দেড় বছরের সামিয়া। ছুটির দিনে বাবা শরীফুল ইসলাম ও মা রোকেয়া বেগমের সাথে এসেছে চিড়িয়াখানায়। জাতীয় পতাকা আঁকা আর বিজয় দিবস লেখা ফিতা দেখে কিনে দেওয়ার বাহানা ধরে সামিয়া। শরীফুল ইসলাম শুধু মেয়ের জন্যই নয় নিজের জন্যও কেনে লাল-সবুজ ফিতা।

ঢাকা: দেড় বছরের সামিয়া। ছুটির দিনে বাবা শরীফুল ইসলাম ও মা রোকেয়া বেগমের সাথে এসেছে চিড়িয়াখানায়।

জাতীয় পতাকা আঁকা আর বিজয় দিবস লেখা ফিতা দেখে কিনে দেওয়ার বাহানা ধরে সামিয়া। শরীফুল ইসলাম শুধু মেয়ের জন্যই নয় নিজের জন্যও কেনে লাল-সবুজ ফিতা।

‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস’ লেখা মাথায় বাঁধার ফিতা কিনতে সামিয়ার মতো শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে ফিতার দোকানে। সাথে ছোট ছোট জাতীয় পতাকা নিয়ে কোমলমতি শিশুরা ঢুকছে চিড়িয়াখানায়।

সামিয়ার বাবা শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সামিয়া বিজয় দিবস কী জানে না। একদিন জানবে। বিজয় দিবসে চিড়িয়াখানায় এসে অন্য শিশুদের আনন্দ দেখে সেও আনন্দ পাচ্ছে। বাসায় যেতেই চাইছে না!
 
সামিয়ার মতো শত শত শিশু বিজয় দিবসে পরিবারের সাথে ঘুরতে এসেছে মিরপুর চিড়িয়াখানায়। প্রায় সবার হাতেই ছোট পতাকা আর মাথায় বিজয়ের ফিতা।
 
চিড়িয়াখানার সামনে ভ্রাম্যমাণ হকাররা ছোট পতাকা আর বিজয় দিবস লেখা ফিতা বিক্রিতে ব্যস্ত। শিশুসহ সব বয়সী মানুষ চিড়িয়াখানায় প্রবেশের আগে এসব কিনছে।
 
মিরপুরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। স্কুলের পোশাক পরিহিত তিনজনের হাতেই ছোট ছোট জাতীয় পতাকা। সারা চিড়িয়াখানা ঘুরে হয়রান তারা। নিশি নামে তাদেরই একজন বাংলানিউজকে বলে, সকাল ১১টায় চিড়িয়াখানায় ঢুকেছি। প্রাণী দেখার চেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছি প্রায় সবার হাতে পতাকা আর মাথায় বিজয় দিবসের ফিতা দেখে।

চিড়িয়াখানার বাইরে ও ভেতরে ঘুরে দেখা যায়, ৮টি টিকিট কাউন্টারে শত শত মানুষ ভিড় করছে টিকিটের জন্য। দীর্ঘ লাইন থাকলেও বিজয় দিবসে কারও মুখে যেন ক্লান্তি নেই। বেড়াতে আসা শিশুসহ অনেকেরই পরনে জাতীয় পতাকার রঙের পোশাক দেখা গেছে।
 
বাঘ দেখতে খাঁচার সামনে বাবার কাঁধের উপর উঠে বাঘ দেখে আনন্দে আত্মহারা শিশু সৌরভ। সৌরভের মতো বহু শিশু বাঘ, বানর, হাড়গিলা, হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী দেখতে ভিড় করছে পশুগুলোর খাঁচার সামনে। বিজয় দিবসে শত শত মানুষ প্রাণী দেখে সময় কাটাচ্ছে।
 
৭ নম্বর কাউন্টার কর্মী সুমন জানান, সকাল ৮টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হলেও ১০টার পর থেকে ভিড় বেড়েছে। বিজয় দিবস হওয়ায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষও বাড়ছে।
 
উল্টো চিত্র চিড়িয়াখানার পাশে বোটানিক্যাল গার্ডেনের। বিজয় দিবস হলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দর্শনার্থী নেই বললেই চলে। কাউন্টার প্রায় ফাঁকা।

কাউন্টার ম্যানেজার রমিজ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবসে সকাল থেকে রাত অবধি দর্শনার্থীর ভিড় থাকতো। এবার উল্টো চিত্র। বিকেল নাগাদ ভিড় কিছুটা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
আরইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।