ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে সিলেটে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

সিলেট: দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিনম্র শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে সিলেটে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনভর সরকারি, বেসরকারি দফতর, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ছাড়াও ছিল বিভিন্ন আয়োজন।

প্রথম প্রহর শেষে ভোরের সূর্য আলো ছড়ানো পর থেকে শহীদ মিনারে ভিড় করেন শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ।   সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমদ। একই স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, র‌্যাব, বিএনসিসি, আনসার-ভিডিপি, কারারক্ষী, স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ ও শারিরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। কুচকাওয়াজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বাদ জুমা জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় সকল মসজিদ, গির্জা, মন্দির, প্যাগোডা ও বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন বলেন, দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখতে মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও সরব হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে শৃঙ্খলার শিক্ষা নিয়ে দেশের প্রগতিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যখনই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তখনই মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় মানুষ জাগ্রত হয়ে অপশক্তির মোকাবেলা করে।

জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার রুকন উদ্দিন, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, মহানগর কমান্ডার ভবতোষ বর্মন রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাসুক উদ্দিন।

সিলেট জেলা প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, স্বাধীকার আন্দোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রহাতে এবং সাংবাদিকরা কলম হাতে যুদ্ধ করেছিলেন।

জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিমের সভাপতিত্বে এ সময় সিনিয়র সহ সভাপতি ওয়েছ খছরু ও সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেলসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিজয় দিবস উপলক্ষে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. মনির উদ্দিন।

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ঋষি কেশ ঘোষের সভাপতিত্বে ও আইন বিভাগীয় প্রধান মো. হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্যবসায় প্রশাসনের ডিন প্রফেসর মো. রুহুল আমিন, প্রশাসন ও জনসংযোগ পরিচালক মো. তারেক উদ্দিন তাজ, ইংরেজি বিভাগীয় প্রধান মাহবুব ইবনে সিরাজ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান আবু সৈয়দ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ইসিই ও ইইই বিভাগীয় প্রধান মো. একরামুল ফারুক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।