ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই রয়েছে ইকবাল, দাবি বাবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই রয়েছে ইকবাল, দাবি বাবার সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত ইকবালের বাবা নূরুল আলম

ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে অপহৃত ডা. ইকবাল মাহমুদ আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর কাছেই রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইকবালের বাবা এ কে এম নুরুল আলম।

ঢাকা: ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় থেকে অপহৃত ডা. ইকবাল মাহমুদ আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর কাছেই রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইকবালের বাবা এ কে এম নুরুল আলম।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সম্প্রতি ইকবালকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেন তার বাবা।

নুরুল আলমের দাবি, আমরা ছেলেকে অপহরণের দুই মাস পরেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই পুলিশের ভ্যানেরও হদিস দেওয়া হচ্ছে না। আর এ থেকে আমি মনে করছি আমার ছেলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছেই রয়েছে।

ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলেও দাবি এই বাবার।

তিনি আরো দাবি করেন, আমার ছেলে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই খবরের কাগজ (মানবকণ্ঠ পত্রিকা) নিখোঁজ ইকবালের পেনড্রাইভ নিয়ে রহস্য এবং নিরুদ্দেশ কয়েক জঙ্গির গোপন যোগাযোগে গোয়েন্দারা সর্তক নামে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নূরুল আলমের দাবি, তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি এই খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  জানাচ্ছি।

নূরুল আলম বলেন, সন্তান হারিয়ে আমি ও আমার পরিবার মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। এ সময় তিনি অপহৃত ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গত ১৪ অক্টোবর আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবটেরির মোড় থেকে অপহৃত হন ডা. ইকবাল। ওই রাতে তিনি নোয়াখালীর লক্ষীপুর থেকে ঢাকায় আসেন।   ইকবাল অপহৃত হওয়ার যে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় অপহৃত হওয়ার সময় যে গাড়িযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাড়ির পিছনে একটি পুলিশের গাড়ি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
আরএটি/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।