ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটপাতের দোকানগুলোতে রাতে বাড়ে শীতবস্ত্র বিক্রি

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
ফুটপাতের দোকানগুলোতে রাতে বাড়ে শীতবস্ত্র বিক্রি ছবি- আরিফ জাহান/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

দিনের শুরুটা হয় কুয়াশায় মোড়ানো। অনুভূত হয় তীব্র শীত। বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার বুক ভেদ করে বেরিয়ে আসে সূর্য। কমতে থাকে শীতের তীব্রতা। তবে বিকেল হতেই ফের শীতের তীব্রতা ফিরতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর মানুষকে জবুথুবু করে ফেলে শীত। 

বগুড়া: দিনের শুরুটা হয় কুয়াশায় মোড়ানো। অনুভূত হয় তীব্র শীত।

বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার বুক ভেদ করে বেরিয়ে আসে সূর্য। কমতে থাকে শীতের তীব্রতা। তবে বিকেল হতেই ফের শীতের তীব্রতা ফিরতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর মানুষকে জবুথুবু করে ফেলে শীত।  

শীত থেকে রক্ষা পেতে কম-বেশি সবাই গায়ে জড়ান গরম কাপড়। তবে অনেকের এখনো শীতের প্রয়োজনীয় পোশাকটি কেনা হয়ে ওঠেনি।  

তাই প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র কিনতে ছুটছেন সবাই। রাতের দিকে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছুটতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর মূল বেচাকেনার পর্বটা শুরু হয়ে রাত ১২টা নাগাদ চলে।  
 
বগুড়া শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথার সাতরাস্তার সম্মুখভাগ ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান নিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা শীতবস্ত্রের পসরা সাজান।  
 
প্রত্যেক ভ্যানের ওপর থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয় রকমারি শীতবস্ত্র। একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দোকানদারকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন ক্রেতারা। শুরু হয় পছন্দের পোশাক বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।  
 
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পোশাক হলেও অনেক সময় বিত্তবান পরিবারের মানুষকেও এসব শীতবস্ত্র কিনতে দেখা যায়। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
সাব্বির, কালাম, তানভীর, সৌরভ, নজরুল, ইদু, নিয়াম ভ্রাম্যমাণ দোকানদার। বাংলানিউজকে তারা বলেন, শহরের প্রায় দেড় শতাধিক ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্র বিক্রেতা রয়েছেন। যারা ফুটপাতের ওপর ভ্যানে করে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন।  
 
এসব দোকানে সুয়েটার, গেঞ্জি, প্যান্ট, শার্ট, জ্যাকেটসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুয়েটার ৭০ টাকা, উলেন সুয়েটার ১৫০ টাকা, শিশুদের পোশাক ১০০ টাকা, জিন্স প্যান্ট ৩০০ টাকায় বেচাবিক্রি হচ্ছে।  
 
তারা জানান, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্রেতা। তাদের কাছ থেকে বেছে বেছে সবাই পছন্দের পোশাক কিনতে পারেন। দিনের বেলায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষে রাতের দিকেই শীতবস্ত্র বেশি কেনেন ক্রেতারা।  

রাব্বি, সুমন, সুমি, ফারজানাসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এসব দোকানেও অনেক পছন্দের পোশাক পাওয়া যায়। শুধু কষ্ট করে বাছতে হয়। এছাড়া দামেও সস্তা। তাই প্রত্যেকেই চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের শীতবস্ত্র কিনেছেন বলেও জানান ক্রেতারা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
এমবিএইচ/ জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।