ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে মোটরযানে ওভারলোড বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
পঞ্চগড়ে মোটরযানে ওভারলোড বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়: মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান চলছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম সভায় গঠিত কমিটির সুপারিশ ও সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা (যানবাহন ও মালামালসহ) সাময়িক সময়ের জন্য মহাসড়কে সারাদেশে সব যানবাহনের নির্দিষ্ট টন এক্রেল নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা যায়, মহাসড়কে চালাচলকৃত যানবাহন ২ এক্রেল (৬ চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা (যানবাহন ও মালামালসহ) সাময়িক সময়ের জন্য ২২ টন, ৩ এক্রেল (১০ চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা (যানবাহন ও মালামালসহ) সাময়িক সময়ের জন্য ৩০ টন এবং ৪ এক্রেল (১৪ চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা (যানবাহন ও মালামালসহ) সাময়িক সময়ের জন্য ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পাথর কুয়ারি ভজনপুরে সব মোটরযান চালকসহ মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রংপুর বিভাগীয় হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) হিরেন্দ্র মহাপাত্র সবাইকে ২০ ডিসেম্বর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানার জন্য আহ্বান জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) হাইওয়ে পুলিশের দেয়া কেবাসিটি লোড আইন না মানায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কের মাগুড়মারী, ভজনপুর ও বুড়াবুড়ি এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক শতাধিক ওভারলোডকৃত যানবাহনকে আটক করে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।

পুলিশের সাথে স্থানীয় ট্রাক চালকদের (বদলি চালক) উদ্ভট আচরণে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব যানবাহনকে প্রথমবারের মত ছেড়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে যানবাহন চালকদের হাতে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিকৃত লিফলেট তুলে দিতে দেখা গেছে।

এদিকে পুলিশের দেয়া কেবাসিটি লোড আইন জানার পরেও কিছু কিছু ট্রাক চালক পাথর কুয়ারি থেকে মালামাল ওভারলোড করে যানবাহনগুলোকে মহাসড়কের পাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয় ট্রাকগুলোকে কেবাসিটি লোড আইন মেনে সঠিক গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকারের আদেশকৃত সব আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। নিঃসন্দেহে মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজনসীমা আইন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা, ব্রিজ-কালভাট, রাস্তাঘাট ক্ষতি সাধনে কার্যকৃত হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় এ আইন মানা সবার দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের আদেশকৃত বিজ্ঞপ্তি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ও যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।