ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাওধার বাবার নারাজি, চার্জশিটের পরও তদন্তে পিবিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
রাওধার বাবার নারাজি, চার্জশিটের পরও তদন্তে পিবিআই

রাজশাহী: পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চার্জশিট দাখিলের পর এবার রাওধা আতিফ হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর রাওধার বাবা নারাজি দাখিল করলে মামলাটি ফের তদন্তের জন্য আদালত থেকে দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপর এ সংস্থা।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সিআইডি পুলিশ আদালতে এ মামলার চার্জশিট (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) দাখিল করে। এতে বলা হয়, রাওধা আত্মহত্যাই করেছিলেন।

তবে প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। এ ব্যাপারে নারাজি দিয়ে আদালতে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন জানান ডা. আতিফ।  

রাজশাহী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বলেন, এক সপ্তাহ আগে আদালত থেকে তাদের কাছে মামলার কাগজপত্র পাঠানো হয়। এরপর পিবিআই পরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনিই মামলাটি তদন্ত করছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এখন মামলার নথিপত্রগুলো আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। এ কাজটি শেষ হলে তিনি নিজেও ঘটনাস্থল অর্থাৎ মহানগরীর নওদাপাড়ায় থাকা ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেল পরিদর্শনে যাবেন। এরপর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত এ পুলিশ সুপার।

এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’ এর ‘কভার গার্ল’ রাওধা আতিফ হত্যা মামলার চার্জশিটে আদালতকে জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আসমাউল হক ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোর্ট পুলিশের কাছে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে তা রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (১) উপস্থাপন করা হয়।  

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। রাওধাকে হত্যা করা হয়েছিল, এমনটিও বলা হয়নি। তাই পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ প্রতিবেদনে নারাজি দেন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আসমাউল হক ওই সময় বলেন, দুই দফার ময়না তদন্ত, ভিসেরা ও মোবাইল ফোন পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় রাওধা আত্মহত্যাই করেছেন। এরপরই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের আগে রাওধার বাবাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছিল।

আসমাউল হক জানান, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই রাওধা আত্মহত্যা করেছিলেন। মালদ্বীপের শাহী গণি নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ওই যুবক লন্ডনে পড়াশোনা করেন। রাওধার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানা গেছে, শাহীর সঙ্গে রাওধার সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিলো। এ নিয়ে ব্যাপক মানসিক চাপে ছিলেন রাওধা। আত্মহত্যার আগের রাতেও শাহীর সঙ্গে রাওধার কথা হয়েছিলো। নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তদন্তের পর অন্যান্য রিপোর্ট মিলিয়ে তাই চার্জশিট (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে রাওধা আতিফের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।