সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেন শহর ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুর হোসেন।
এদিকে, দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত চুয়াডাঙ্গা শহর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। একইসঙ্গে হামলার সময় আটক হওয়া মিন্টুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং তাকেও রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
মামলায় সরকারি কাজে বাধাদান ও উপ-পরিদর্শক ওহিদুলকে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। দু’টি মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৮/১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, হামলাকারীরা সবাই সরকারি দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী। তাদের গ্রেফতারে সোমবার রাত থেকেই জেলাব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে, হামলার সময় মিন্টুকে ছাড়া আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও দারোগা ওহিদুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। তারা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত দাগি আসামি। এদের প্রত্যেকের নামে ৫টিরও বেশি করে মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া এলাকায় পুলিশের একটি টহল দলের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুলকে কুপিয়ে জখম করে। হামলার পর পরই স্থানীয় জনতা হামলাকারীদের মধ্যে মিন্টু (৩২) নামে এক যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ