আটকের পর মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম।
আটকরা হচ্ছে- হায়াতুল্লাহ রুবেল ওরফে মাসুদ, আবদুর রহিম ও মিজানুর রহমান ওরফে মেজা।
কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, কোরআন শিক্ষার আড়ালে এরা আহলে হাদিস ও জাগ্রত মুসলিম জনতা নামে ইসলামের মূলধারার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করে তারা।
আর এ জঙ্গি কার্যক্রমের মূলে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজু মুন্সি। তিনি অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন বলে জানান র্যাবের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, প্রায় একযুগ আগে ভড়ুয়াপাড়ায় আজুমুন্সির মাধ্যমে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (পরবর্তীতে আনসার আল ইসলাম নামে পরিচিত) সংগঠনের কার্যকলাপ শুরু করে। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলায় তিনি যুক্ত আছে বুঝতে পারে এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদ করলে সংগঠনের লোকজন তাদের দমিয়ে রাখে। এভাবে কিছুদিন চলার পর ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের আরও কিছু উগ্রবাদী সদস্য যেমন শহিদুল, মিজানুর রহমান মেজা, সাদ্দাম, উজ্জল, রাকীব, মামুন ও হায়াতুল্লাহ এ সংগঠনের সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ২০০৫ সালে আজুমুন্সি মারা গেলে তার জায়গায় আসে বাবর মুন্সি। বাবর মুন্সি গোপনে সংগঠনের কার্যক্রম চালাতে থাকে। সেসময় গোপন বৈঠককালে তাদের কিছু সদস্যও আটক হয়। এ বছরের ৬ অক্টোবর নাশকতা ষড়যন্ত্র করায় ভড়ুয়াপাড়া থেকে ২৪টি জিহাদী বইসহ বাবর মুন্সিকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভড়ুয়াপাড়ায় থেকে চার জঙ্গি আটক করা হয়।
র্যাবের অভিযানে হায়াতুল রুবেল ওরফে মাসুদের কাছ থেকে দু’টি, আব্দুর রহিমের কাছ দু’টি, মিজানুর রহমান ওরফে মেজার কাছ একটি বিতর্কিত জিহাদী বইসহ আটক করা হয়।
বিকেলের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান কর্নেল মাহাবুব আলম।
এর আগে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে চার জঙ্গিকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জিহাদী বইও উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/