শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ এলাকার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা খলিলের ছেলে নাসিরের সঙ্গে এক বছর আগে রুবির বিয়ে হয়।
নিহতের মামা আক্কাস মীর বাংলানিউজকে অভিযোগ করেন, নাসির কিছুদিন আগে থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিকে অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য মারধর শুরু করেন। শুক্রবার সকালে রুবি শোনেন, স্বামী নাসির মোবাইল ফোনে ঢাকায় থাকা প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন।
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে রুবি তার মামা আক্কাস মীরকে জানান। নাসির বিষয়টি টের পেয়ে রুবিকে বেধড়ক মারধর করলে তিনি মারা যান।
আক্কাস মীর আরও বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে মেরে ফেলেছেন তারা। এরপর স্বামী নাসির ও শাশুড়ি রুবির গলায় রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেও অপপ্রচার চালান’।
‘বরগুনা থানা পুলিশ অভিযুক্ত ভাগ্নি জামাই নাসির ও তার মা রুবির শাশুড়িকে থানায় এনে ছেড়ে দিয়েছে। তাহলে কি আমরা বিচার পাবো না?’
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ জামান জানান, গৃহবধূ রুবির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এটি খুন না আত্মহত্যা, বিষয়টি বুঝতেই ময়না তদন্ত করা হবে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এএসআর