বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের পর বিএনপি যাতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে।
সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার যে বিচার চলছে আগামী বছরের প্রথম দিকে এর রায় হতে পারে।
এ ব্যাপারে সরকারের কাছে তথ্যও রয়েছে বলে ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি মাঠে নামার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সহায়ক সরকারের কথা বেশ কিছু দিন ধরে বাস্তবায়নের দাবি করে আসছে। তবে এ দাবিতে এখন পর্যন্ত দলটি কোনো আন্দোলনে নামতে পারেনি। খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের সুযোগ নিয়ে তারা মাঠে নামতে পারে এবং গত নির্বাচনপূর্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে সরকার ও আওয়ামী লীগের ওই নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। তবে সরকার বিএনপিকে আন্দোলনে নামার মতো কোনো সুযোগ দেবে না বলে জানান তারা।
সরকার ও আওয়ামী লীগের ওই নীতিনির্ধারকরা আরও জানান, অতীতে বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, নাশকতা করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের আর কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য সরকার সতর্ক রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ইস্যুতেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলনিউজকে বলেন, রায় তো সরকার দিচ্ছে না বা আমরা দিচ্ছি না। বিচার চলছে, রায় দেবে আদালত। এটা নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হলে আইনে যেটা আছে সেটাই হবে। যে কোনো বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার এ মামলার বিচারকে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বার বারই বলা হচ্ছে এ মামলা আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ের নয়। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ মামলা হয়েছে। এ দায় আওয়ামী লীগ সরকারের নয়। কিন্তু উদ্দেশ্য নিয়েই সরকারকে দোষারোপ করছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলা আমাদের সরকারের সময় হয়নি, ওয়ান ইলেভেনের সময় হয়েছে। এটা আদালতের ব্যাপার, আমাদের তো কোনো বিষয় না। কেউ নির্দোষ হলে ছাড় পাবে, দোষী হলে শাস্তি পাবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, তা হলে তো আমরা মামলা দিতাম। আদালতের রায়ের পর এটা নিয়ে তারা যদি কোনো সমস্যা করে তাহলে সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দেখবে, এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর এটা দায়িত্ব। কেউ বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস, নাশকতা করলে সারা বিশ্বেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ব্যবস্থা নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এসকে/এসএইচ