ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট অবস্থান ধর্মঘটে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয়করণের দাবিতে ষষ্ঠদিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে মাদ্রাসা শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

ধর্মঘট চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন সমিতির সভাপতি কাজী রুহিল আমিন চৌধুরী।

উপস্থিত রয়েছেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলামফরাজি, মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা. অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, দফতর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।

কাজী রুহিল আমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৯৪ সালে জারি হওয়া একটি পরিপত্রেই রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক ও স্বতন্ত্র  ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বেতন বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সব কাজে অংশগ্রহণ করে।  

‘অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান। কিন্তু ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা পান না। তবুও তারা শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ’

তিনি বলেন, মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি মাদ্রাসা শিক্ষকরা ২৯ বছর ধরে বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত।

তাই জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের  আন্দোলন চলবে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।