মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দাসাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দিন ডাকাত ওরফে ডাকাত সাগর ওরফে ডাকাত কালাম ওরফে ডাকাত আসলাম জেলার গোসাইরহাট উপজেলার ভোগকাঠি গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদ হাওলাদারের ছেলে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জাজিরার কাজিরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে সালাউদ্দিনকে নিয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাতে দাসাত্তা গ্রামে মসজিদের দক্ষিণে পুকুরের পাশের বাগানে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পালং মডেল থানা পুলিশ। এ সময় সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা সালাউদ্দিনের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণসহ গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে সালাউদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ছয়টি ককটেল, চারটি রামদা, একটি ছোরা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও কালো কাপড়ের দু’টি ব্যাগ জব্দ করা হয়।
ডাকাত সালাউদ্দিন শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট, পালং থানা ও চাঁদপুর জেলায় ছয়টি ডাকাতি মামলার আসামি এবং আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা,নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এসআরএস