বুধবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক পর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে হত্যার কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আটক কবির ওই গ্রামের সোবহান আমিনের ছেলে। নিহত খাদিজা ছিলেন কবিরের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাললাপারা গ্রামের সবুর মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মাত্র চার মাস আগে পারিবারিকভাবে কবিরের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন কবির ও তার পরিবার। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে খাদিজা স্বামীর দাবি না মানায় তাকে বেদম মারপিট করে এবং আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেয়।
এসময় খাদিজা ইঁদুর মারা বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দেনদরবার করে খাদিজার পরিবারকে চাপ দিয়ে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেন। বুধবার সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং স্বামী কবিরকে আটক করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত খাদিহার মা জামেলা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আটক কবিরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
জিপি