বুধবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ইন সার্ভিস সেন্টারের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে চেয়ারম্যান নান্টুকে হত্যার পেছনে মাদকবিক্রিতে বাধা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টি বেড়িয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে গুলি করে নান্টুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের বাবা সাত থেকে আট জনকে অজ্ঞাতনামাসহ ৩২জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে ১২ জনকে আটক করে। পাশাপাশি থানা ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন এবং আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রাখেন। এ ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. শাকিল ইসলাম রাব্বি, মামুন শাহ, কাউসার সেরনিয়াবাত, এরশাদ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত কুদ্দুস হাওলাদার, হাদীরুল ইসলাম হাদী, দিপু ও মো. সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে গ্রেফতার মামুন শাহর দেওয়া তথ্যানুযায়ী উজিরপুর থানাধীন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ কর হয়।
গ্রেফতার রাব্বি ও মামুন শাহসহ কয়েকজন মিলে এলাকায় নিজেদের অবস্থান সু-দৃঢ় করার জন্য এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এসপি সাইফুল।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, মো. আব্দুর রকিবসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএস/আরআইএস