বুধবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রওশন আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম (২৭) রংপুরের সিও বাজার কেল্লা বন্দর এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে।
পরিদর্শক রওশন বাংলানিউজকে বলেন, ৪ নভেম্বর রংপুর মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকে রফিকুলকে গ্রেফতারের পর তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রফিকুল জানান, ট্রাকে থাকা ৩৫১ বস্তা ভুট্টা আত্মসাৎ করার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এ ঘটনায় তার সঙ্গে আরো দুই জন জড়িত রয়েছেন।
রফিকুল আরো জানান, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের কোন এক স্থানে ট্রাক চালক রংপুর মহানগরের ভুরারঘাট ফতেহপুর এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে আল আমিন (২৪) ও হেলপার একই এলাকার বিনোদপুর রেলগেট মহল্লার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে সোহেলকে (২৫) গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ট্রাকের কেবিনের পিছনে রেখে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তারা ১০০ বস্তা ভুট্টা বিক্রি করেছে। এরপর ভোর হয়ে যাওয়ায় হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সয়দাবাদ এলাকায় ট্রাকটি ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার রফিকুল বর্তমানে সিরাজগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম জানাতে রাজি হননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রওশান আলী।
প্রসঙ্গত, ২৯ সেপ্টম্বর শনিবার বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা থেকে ভুট্টা বোঝাই ট্রাক নিয়ে নরসিংদীতে রওনা দেয় চালক আল আমিন ও হেলপার সোহেল। ২ দিন পর ১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্ট এলাকায় থেকে ২৫১ বস্তা ভুট্টাসহ ওই ট্রাকটি জব্দ এবং চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
এনটি