শনিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত লিট ফেস্টের একটি সেশনের প্রশ্নোত্তরে পর্বে এ কথা বলেন তিনি। ‘দ্য মিসআন্ডারস্টুড রোহিঙ্গা: এ লিংগুয়াস্টিক হিস্টোরি’ শিরোনামে সেশনটির সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্ক ভিত্তিক সাংবাদিক শাহিরা মজুমদার।
এ কে রহিম বলেন, রোহিঙ্গারা যদি মিয়ানমারের মূলধারার সঙ্গে মিশতে চায় তাহলে অবশ্যই তাদের বার্মিজ ভাষা শিখতে হবে। মিয়ানমারের নাগরিকরা রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে সম্বোধন করে, এ সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই সম্ভব। ভাষা না জানার কারণে রোহিঙ্গারা শিক্ষার সুযোগ ও প্রশাসনে প্রবেশ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ভাষার উৎপত্তি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে। এটি একটি উপভাষা। যেটা রেহিঙ্গারা নিজেরা বুঝতে পারে।
সেশনের শুরুতেই একটি উপস্থাপনায় এ কে রহিম দেখান যে, সংস্কৃত-প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা, চাটগাইয়া, রোহিঙ্গা, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি ভাষার উৎপত্তি হয়েছে। রোহিঙ্গা ভাষার লিখন পদ্ধতি তিন ধরনের। হানাফি, রোহিঙ্গা ইংলিশ, রোহিঙ্গা হরফ।
রোহিঙ্গা ভাষার সাথে ইংরেজি, বাংলা, চট্টগ্রামের ভাষার মিল-অমিল তুলে ধরেন এ কে রহিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ