শনিবার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া থানা থেকে নথিপত্রসহ মামলার তদন্ত গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার ও বাসটি শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলানিউজকে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাই ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি হাতে পাওয়ার পর থেকেই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে জরিনা তার বাবাকে নিয়ে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বাবাকে সঙ্গে নিয়েই বাসে করে স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এসময় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে বাবা-মেয়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জরিনার বাবা আকবর আলী মণ্ডলকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরে জরিনাকে মারধর করে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে মরাগঙ্গ এলাকায় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান চালক-হেলপার ও সুপারভাইজার।
এ ঘটনায় নিহত জরিনার মেয়ের জামাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যেটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৮
টিএ