প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এমন একটি চুক্তির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে নৌ প্রোটোকল, এখানে বাংলাদেশের পানগাঁও ও ভারতের আসামের ধুপড়ি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নো-ম্যান্স এরিয়াতে প্রয়োজনে বিজিবি ও বিএসএফ’র সহযোগিতায় ইমার্জেন্সি সার্ভিস গ্রহণ, ক্রু বা নাবিকদের মরদেহ দেশে আনার সহজীকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের যথাক্রমে ৮০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ অনুপাতে খরচ বহনের শর্তে আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ-দইখাওয়া পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৪৭০ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে। অর্থাৎ সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে আশুগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জ থেকে ভারতের দইখাওয়া পর্যন্ত ৪৭০ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশের ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রেইলার ভারতের অভ্যন্তরে আগরতলা আইসিবি পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে আনলোড করার বিষয়টি।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভায় ভারতীয় পণ্য-সামগ্রী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিবহনের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ