ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেরোবি রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
বেরোবি রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ

বেরোবি (রংপুর): আইনের তোয়াক্কা না করে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি থেকে এক শিক্ষককে বাদ দেওয়ার জেরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীর ও লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। গত ৯ ডিসেম্বর নোটিশটি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লোক প্রশাসন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি থেকে আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে বাদ দেওয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে বলে ওই নোটিশে দাবি করা হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে আসাদকে পুনরায় ওই বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে বলেন আইনজীবী।  

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে লোক প্রশাসন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিষয়টি অবগত করে তাকে চিঠি দেন ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের। পরে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি যথাযথভাবে গঠিত হয়নি উল্লেখ করে ২১তম সভায় আসাদকে বাদ দিয়ে তার স্থলে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় আদলতের দ্বারস্থ হন আসাদুজ্জামান মন্ডল। একই সঙ্গে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট হাসনাত কাউয়ুম।  

জানা যায়, ওই লিগ্যাল নোটিশ দু’দফায় ফিরিয়ে দিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বেরোবি আইনের ১১ (৮) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি গঠনে ওই বিভাগের শিক্ষকদের এক তৃতীয়াংশকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে লোকপ্রশাসন বিভাগে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা চারজন। আইন অনুযায়ী দুইজন শিক্ষক প্ল্যানিং কমিটিতে স্থান পাওয়ার কথা।

এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ বলেন, চারজন শিক্ষকের মধ্যে আমি জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয়। আইন অনুযায়ী প্ল্যানিং কমিটিতে আমার থাকার কথা। আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেও পরে আইন লঙ্ঘন করে ওই কমিটি থেকে বাদ দিয়ে অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বেআইনি। তাই আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আশাকরি প্রশাসন আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে।  

যোগাযোগ করা হলে লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের বলেন, এবিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। তবে, এখন কিছু বলতে পারছি না।  

নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীর বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।