মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের লতা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কাজীর হাট থানা পুলিশ। গত ৯ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন তিনি।
মহসিন হাওলাদার লতা গ্রামের মাস্টার বাড়ির হারুন মাস্টারের ছেলে। এক সন্তানের জনক মহসিন লতা বাজারে ওষুধের ব্যবসা করছিলেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মহসিনের স্ত্রী কয়েকদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে মহসিনের কথা হয়। সেসময় স্ত্রীকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসতে বলেন মহসিন।
৮ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ফোনে কথা বলার পরে রাতে মহসিনকে কল করেন তার স্ত্রী। কিন্তু তখন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরে আসেন মহসিনের স্ত্রী। এদিন তাদের পাশের ঘরের আরেকটি ঘরে মহসিনের মরদেহ ঝুলতে দেখেন স্বজনরা, তখন সে ঘরটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। পরে দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, মহসিনের পরিবার প্রতিষ্ঠিত। তিনি নিজেও লতা বাজারে ওষুধের ব্যবসা করছিলেন। ইতিপূর্বে ঠিকাদারিও করতেন। যতটুকু শুনেছি তিনি অনেকের দেনাদার ছিলেন। হয়তো এজন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তাছাড়া মরদেহের পরে থাকা জামার পকেট থেকে তালাবদ্ধ ঘরের চাবিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় জড়িত রয়েছে কি-না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়টিও পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এমএস/এইচএ/