একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর থেকেই এসব পোস্টার ও লিফলেট ছাপানোর কাজে এখন যেন নির্ঘুম রাত কাটছে প্রেসগুলোর কর্মীদের। মালিক-কর্মচারীদের নেই দম ফেলার ফুরসত।
বগুড়া শহরের শাপলা মার্কেটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টির মত প্রেস রয়েছে। এ কারণে মার্কেটটি প্রেসপট্টি নামেই সবার কাছে পরিচিত। এছাড়া শহরের বাদুরতলা এলাকায়ও বেশ কিছু সংখ্যক প্রেস রয়েছে। এসব প্রেসে এখন দিন-রাত বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে।
এসব প্রেসের মালিক বা কর্মচারীদের এখন কথা বলার সময় নেই। সর্বক্ষণই কাজে ব্যস্ত। সময় মতো খাবারও খেতে পারছেন না। কারণ সঠিক সময়ে কাস্টমারকে পোস্টার বা লিফলেট ডেলিভারি দেওয়াটাই এখন সবার একমাত্র কাজ।
প্রেসপট্টি ঘুরে দেখা যায়, প্রেসগুলোতে মেশিনম্যান ব্যস্ত ছাপা মেশিন নিয়ে। রঙের কাজ করছেন কেউ কেউ। ধোয়া-মোছার কাজ করতে অন্যরা। কেউবা কম্পিউটারে পোস্টারে ডিজাইন করছেন। আবার কেউ প্লেট করা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এছাড়া পেপার কাটিং, ছাপার পর পোস্টার বাঁধাসহ নানা ধরনের কাজও চলছে প্রেসপট্টিতে।
ক্রিয়েটিভ কম্পিউটার অ্যান্ড অফসেটের স্বত্বাধিকারী মীর আশরাফুল ইসলাম রাজু বাংলানিউজকে জানান, এখানকার প্রেসগুলোতে বগুড়ার সাতটি আসনের প্রার্থী ছাড়াও নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা শহর থেকে প্রার্থীর পক্ষের লোকজন পোস্টার ছাপাতে আসেন।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, এখানকার প্রেস মেশিনগুলো ভাল। কাজের মানও অনেক ভাল। ছাপা ভাল হওয়ায় পোস্টারগুলো দেখতে অনেক ভাল দেখা যায়।
আবুল কাশেম নামের আরেক প্রেস মালিক বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে কাগজ, রঙসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে ছাপার খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু লাভ তুলনামূলক কমে গেছে। তবে কাজের চাহিদা থাকায় সামান্য লাভেই পোস্টার বা লিফলেট তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন ঘিরে তুমুল ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এমবিএইচ/এইচএ/