ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় দিন-রাত ঘুরছে প্রেসের চাকা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
বগুড়ায় দিন-রাত ঘুরছে প্রেসের চাকা

বগুড়া: কেউ রঙের কৌটা নিয়ে ব্যস্ত। কেউবা প্রেসের নির্ধারিত স্থানে ব্রাশ দিয়ে রঙ ভরায় ব্যস্ত। আবার মেশিনম্যান ব্যস্ত পোস্টার ছাপানো নিয়ে। তবে পোস্টার চূড়ান্তভাবে ছাপানোর আগে কয়েক দফা যাচাই করে নেওয়া হয়। দেখে নেওয়া হয় রঙের প্রকৃতি ঠিকঠাক আছে কি-না। পোস্টারের লেখা ও প্রার্থীর ছবিসহ করা ডিজাইন অনুযায়ী পোস্টার বের হচ্ছে কি-না, তাও পরখ করে নেওয়া হয়। পরখ করে নেওয়ার সময়টাতে মেশিন চালানো হয় ধীর গতিতে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে মেশিনের গতি পুরো মাত্রায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। খট খট শব্দ তুলে চলতে থাকে মেশিন। বের হয়ে আসে একেকটি পোস্টার। এই পোস্টারগুলোই হাসে প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকার অলিতে-গলিতে, পথে-ঘাটে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর থেকেই এসব পোস্টার ও লিফলেট ছাপানোর কাজে এখন যেন নির্ঘুম রাত কাটছে প্রেসগুলোর কর্মীদের। মালিক-কর্মচারীদের নেই দম ফেলার ফুরসত।

দিন-রাত প্রেসের চাকা যেন ঘুরেই চলছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এমন তুমুল ব্যস্ততা বগুড়ায়ও।
 
বগুড়া শহরের শাপলা মার্কেটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টির মত প্রেস রয়েছে। এ কারণে মার্কেটটি প্রেসপট্টি নামেই সবার কাছে পরিচিত। এছাড়া শহরের বাদুরতলা এলাকায়ও বেশ কিছু সংখ্যক প্রেস রয়েছে। এসব প্রেসে এখন দিন-রাত বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে।
 
এসব প্রেসের মালিক বা কর্মচারীদের এখন কথা বলার সময় নেই। সর্বক্ষণই কাজে ব্যস্ত। সময় মতো খাবারও খেতে পারছেন না। কারণ সঠিক সময়ে কাস্টমারকে পোস্টার বা লিফলেট ডেলিভারি দেওয়াটাই এখন সবার একমাত্র কাজ।
 
প্রেস মেশিন থেকে বের হচ্ছে এক প্রার্থীর পোস্টার।  ছবি: আরিফ জাহানপ্রেসপট্টি ঘুরে দেখা যায়, প্রেসগুলোতে মেশিনম্যান ব্যস্ত ছাপা মেশিন নিয়ে। রঙের কাজ করছেন কেউ কেউ। ধোয়া-মোছার কাজ করতে অন্যরা। কেউবা কম্পিউটারে পোস্টারে ডিজাইন করছেন। আবার কেউ প্লেট করা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এছাড়া পেপার কাটিং, ছাপার পর পোস্টার বাঁধাসহ নানা ধরনের কাজও চলছে প্রেসপট্টিতে।  

ক্রিয়েটিভ কম্পিউটার অ্যান্ড অফসেটের স্বত্বাধিকারী মীর আশরাফুল ইসলাম রাজু বাংলানিউজকে জানান, এখানকার প্রেসগুলোতে বগুড়ার সাতটি আসনের প্রার্থী ছাড়াও নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা শহর থেকে প্রার্থীর পক্ষের লোকজন পোস্টার ছাপাতে আসেন।
 
কারণ হিসেবে তিনি জানান, এখানকার প্রেস মেশিনগুলো ভাল। কাজের মানও অনেক ভাল। ছাপা ভাল হওয়ায় পোস্টারগুলো দেখতে অনেক ভাল দেখা যায়।
 
আবুল কাশেম নামের আরেক প্রেস মালিক বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে কাগজ, রঙসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে ছাপার খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু লাভ তুলনামূলক কমে গেছে। তবে কাজের চাহিদা থাকায় সামান্য লাভেই পোস্টার বা লিফলেট তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন ঘিরে তুমুল ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এমবিএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।