বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুরুভী জেলার ডোমার উপজেলার মেলাপাঙ্গা গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের মেয়ে ও নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স (রাষ্ট্র বিজ্ঞান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আটকরা হলেন- উপজেলার সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫), আরফানের মামা ফয়মুদ্দিনের ছেলে খুশিয়ার রহমান (৪৮) এবং মফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান (৩২)।
জানা যায়, সুরুভী আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আরফান আলীর (২২) সাথে গত তিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ১৭ ডিসেম্বর আরফান সুরুভীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আরফানের পরিবারের লোকজন সুরুভীর সঙ্গে আরফানের বিয়ে দিতে অনিহা প্রকাশ করে।
এ ঘটনায়, এলাকায় একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ উভয়পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। ওইদিন রাতে আরফানসহ তার বাড়ির লোকজন সুরুভী আক্তারকে মারধর করে হত্যা করে তার মরদেহ ডিমলা হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আরফান পলাতক রয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুস ছাত্তার অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আরফানের পরিবার আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি দোষীদের বিচার চাই।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে ডিমলা হাসপাতাল থেকে সুরুভীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সুরুভীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এনটি