শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে একটি দেশি অস্ত্র ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, আটক করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শক্তিমান চাকমা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কালিশংকর।
র্যাব সূত্রে জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায়ও হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর এলাকায় গাড়ি তল্লাশি করছিল র্যাব। তল্লাশি দেখে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী একটি অটোরিকশা থেকে এক যুবক দৌড়ে পালাতে গেলে র্যাব সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে। আটক ওই যুবককে র্যাব অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে কালি শংকর চাকমা বলে পরিচয় দেন। আরো জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালী শংকর ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ সমর্থিত যুব ফোরাম রাঙামাটি জেলার সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নানিয়ারচর উপজেলায় ইউপিডিএফ’র হয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি নানিয়ারচর উপজেলায় খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটিগামী রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজ নামে পর্যটকবাহী একটি বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়ের জন্য গুলি ছোড়েন কালি শংকর এবং তার দলবল।
এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর কে বা কারা রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা থেকে অস্ত্রের মুখে কালি শংকরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে ইউডিপিএফ সূত্রে দাবি করা হয়। ইউপিডিএফ এ ঘটনার জন্য জেএসএস সংস্কারকে দায়ী করে এলেও জেএসএস সংস্কার এ ঘটনার কথা অস্বীকার করে আসছে ঘটনার পর থেকে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, কালি শংকর চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামি কি না তা নথিপত্র দেখে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই