তারা বলছেন, ডিএনডি বাঁধ নির্মাণ সবার প্রাণের দাবি। এটি নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাঁধটি নির্মাণের কাজ শুরুর আগে এ প্রকল্পকে সাধুবাদ জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় আলাদা দুটি সমাবেশ হয়। ৫৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যে ডিএনডি বাঁধ; ফতুল্লা এলাকাতেই রয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। আর সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাটিও ডিএনডি বাঁধের ভেতরে। এটা আবার সিটি করপোরেশন এলাকাতেও।
বিগত দিনে এ আসনের সংসদ সদস্যরা (এমপি) বারবার ডিএনডি নিয়ে আশার আলো দেখালেও সেটা ফিকে হয়ে যায়। প্রতিবছর বর্ষা এলেই দুর্ভোগ আর বিড়ম্বনার শিকার হতো ডিএনডি এলাকার অন্তত ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।
বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হতো বিভিন্ন কল-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত পানি। থাকতো বসত বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের পানিও।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজটি হলে প্রকল্পের বাধা হিসেবে থাকা অবৈধ খাল দখলদারদেরও উচ্ছেদ করে তা পুনরুদ্ধার হবে বলে মনে করেন স্থানীয় অধিবাসীরা। এসব কারণেই সেনাবাহিনী কাজটি করায় স্বস্তি পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে বসবাস করা লাখ লাখ মানুষের!
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, ডিএনডির প্রকল্প অনুমোদন ও কাজ শুরুর কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এবং আমার নারায়ণগঞ্জবাসী কৃতজ্ঞ। প্রকল্পটি ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ের হলেও প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টা নিয়ে বেশ আন্তরিক। টাকার কোনো সমস্যা এখানে নেই। প্রধানমন্ত্রীও চান এ প্রকল্প যেনো দ্রুত সম্পন্ন হয় ও ডিএনডিবাসী জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত মুক্তি পাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এমএ/