বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান । এ সময় কারাগার প্রাঙ্গণে সংবাদিক নেতা ও তার সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলায় হেদায়েতের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রিমান্ডের প্রথম দিনে সাংবাদিক হেদায়েত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক হেদায়েতকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি পূর্বে থেকে ব্রেন স্টোকের রোগী ছিলেন। পরে তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তিন এ হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আইনজীবীরা হেদায়েতের শারীরিক অসুস্থতার বিবেচনা করে জামিন আবেদন জানালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনার গল্লামারী এলাকা থেকে হেদায়েতকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২ জানুয়ারি) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তিন এর বিচারক নয়ন বিশ্বাস হেদায়েতের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ওই ফলাফলে খুলনা-১ আসনে 'মোট ভোটারের চেয়ে ২২ হাজারেরও বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে' মর্মে বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাংবাদিক হেদায়েতকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মামলায় মানবজমিনের খুলনা প্রতিনিধি রাশিদুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস