চা বাগান সূত্র জানায়, চা বাগানগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি প্রতি রোববার। কোনো কারণে যদি রোববার জাতীয় ছুটি পড়ে তাহলে পরেরদিন সোমবার সেই ছুটিটি শ্রমিকরা মজুরিসহ ভোগ করেন।
তবে হোসেনাবাদ চা বাগান, এমআর খান চা বাগান, নন্দরানী চা বাগানসহ কয়েকটি চা বাগানে শ্রমিকরা জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প ছুটিটি মজুরিসহ ভোগ করে সোমবার যথারীতি কাজ করছেন।
৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা ওই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিটি সোমবার (৭ জানুয়ারি) মজুরিসহ বিকল্প ছুটি হিসেবে কাটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরী বলেন, আমরা বছরে ছুটি পায় মাত্র ১৪টি। আমাদের চা বাগানের শত বছরের রেওয়াজ হলো রোববার যদি কোনো ছুটি পড়ে যায়, তবে সেই সাপ্তাহিক ছুটির বিকল্প ছুটির পরেরদিন সোমবার ভোগ করেন শ্রমিকরা। এ প্রথাটিই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে এবং এটি আমাদের শ্রম আইনেও স্বীকৃত।
রামভজন কৈরী আরও বলেন, এছাড়া আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও উল্লেখ আছে যে, জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা মজুরিসহ ছুটি ভোগ করবেন। জাতীয় নির্বাচন যেহেতু আমাদের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন অর্থাৎ রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই পরেরদিন সোমবার চুক্তি অনুযায়ী আমাদের চা শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে সোমবার (৭ জানুয়ারি) ৬৩টি চা বাগানে ছুটি নিয়েছেন শ্রমিকরা।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি ছুটি রোববার হওয়ায় আমরা পরেরদিন সোমবার সেই বিকল্প ছুটিটি মজুরিসহ ভোগ করি বলে জানান রামভজন কৈরী।
কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিচালক (ডিআইজি) আবু ইউসুফ বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি যেহেতু রোববার পড়েছে তাই তারা হয়তো সেদিনের সাপ্তাহিক ছুটির বিকল্প ছুটিটা পাবেন না। কয়েকজন শ্রমিক ছুটির ব্যাপারে আমার কাছে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনটা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিআইজি আবু ইউসুফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯
বিবিবি/আরআর