ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নজরদারিতে মন্ত্রীরা, কে কী করে দেখতে চাই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
নজরদারিতে মন্ত্রীরা, কে কী করে দেখতে চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

ঢাকা: মন্ত্রীদের বিশেষ করে নবীন মন্ত্রীদের নজরদারিতে রাখা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, কে কী করে আমি তা দেখতে চাই।

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে নতুন মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে বলবো-আগে জানতে হবে, বুঝতে হবে, তারপর কাজ করতে হবে এবং কথা বলতে হবে।

তাদের (নতুন মন্ত্রীদের) সব কাজ বুঝে করতে হবে এবং পুরনোদের সফলতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সবাইকে আমি কঠোর নজরদারিতে রাখবো। কে কী করে আমি তা দেখতে চাই।

তিনি বলেন, নতুনদের মন্ত্রী বানিয়েছি এর মানে এই নয় যে, পুরনোরা ব্যর্থ ছিলেন। পুরনোরা সফল ছিলেন বলেই দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। নতুনদের বানিয়েছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য।  

শেখ হাসিনা বলেন, টানা ১০ বছর একসঙ্গে মন্ত্রী ছিলেন তাদের জায়গায় নতুনদের আনার চেষ্টা করেছি। যেসব জেলায় কখনও মন্ত্রী হয়নি সেসব এলাকায় মন্ত্রী করার চেষ্টা করেছি।

মন্ত্রিসভা গঠনে তরুণ ভোটারদের কথা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ ভোটার ও নারীদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। সেই চিন্তা থেকেই আমরা এভাবে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছি।  

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। আবার সেই যুদ্ধাপরাধী, অগ্নিসন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসবে কি না তা সিদ্ধান্তের বিষয় ছিল। এইবার নির্বাচনী প্রচারণায় আমি যেটা দেখেছি তাহলো- সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নৌকার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ, নৌকার গণজোয়ার। শিডিউল ছাড়াও আমি জনসভা করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে যে বক্তব্য শুনেছি তাহলো নৌকার প্রতি আগ্রহ। তারা চেয়েছেন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসুক।  

বিএনপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব আসনে তাদের জেতার সম্ভাবনা ছিল সেসব আসনে তারা সেভাবে মনোনয়ন দেয়নি। বহু আসন ছিল যেখানে যোগ্য লোক ছিলো তাকে মনোনয়নই দেওয়া হয়নি। তারা টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়ে যোগ্য লোকটাকে সরিয়ে দিয়েছে। নিজের দোষেই তারা এভাবে হেরেছে। অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য শুধু করেনি। মনোনয়ন তারা অকশনে দিয়েছিলো।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এদের আর রাজনীতিতে ঠাঁই হওয়া উচিৎ না। এদের আর ক্ষমতায় আসা উচিৎ না। এরা ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করে মানুষের ক্ষতি করে। এবার জনগণ এটা বুঝতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।  

আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের শিডিউলের বহু আগেই আমি জরিপ চালিয়ে দেখিয়েছি বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা কম। এরপর আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে জরিপ চালিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট দেখে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। যে কারণে মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯/আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, ৯ জানুয়ারি
এমইউএম/আরআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।