এক্ষেত্রে কাজের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে তা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও সততা, সমাজের ইতিবাচক দিকসমূহ তুলে ধরাসহ জনগণের বিভিন্ন বিভ্রান্তি দূর করার দিকে প্রথমেই নজর দিতে চান তিনি।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিবালয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় খালিদ বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে শ্রেষ্ঠ মন্ত্রণালয় বানাতে চাই। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকার তালিকা করে দ্রুততার সঙ্গে সেগুলো সম্পন্ন করবো। আমাদের সামনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বর্ষ রয়েছে। সেটি হলো- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, জাতির জনকের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিলো বলেই আজ আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছি। এ ধারা অব্যাহত রাখা ও চলমান কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখে আমার ওপর এ মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চাই।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। সমাজের ইতিবাচক দিকসমূহ তুলে ধরুন। এমন কিছু করবেন না যাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব রোকসানা মালেক, মো. নিজাম উদ্দিন ও মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/আরবি/