বুধবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. নূর আলম ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদের উপস্থিতিতে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকরা।
জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. নূর আলম বলেন, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে চলতি মাসের ও ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আরও একমাসের বকেয়া বেতনসহ পরিশোধ করা হবে।
এরআগে ভোর ৬ টা থেকে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোর গেট তালাবদ্ধ করে দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মসূচি শুরু করে শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ১০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিপোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য উপস্থিতি থাকলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্থান ত্যাগ করবেন বলে জানিয়ে দেন শ্রমিকরা। এরপর সকাল ১১টায় গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ সেখানে উপস্থিত হন।
এসময় তিনি আন্দোলনরত শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের আন্দোলন যৌক্তিক। ১০ মাসের বেতন বকেয়া থাকাটা অযৌক্তিক। আপনারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন, এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এখন আপনাদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আপনাদের বেতন ভাতা পরিশোধের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা ছাড়া কোনো অর্থ খরচের ক্ষমতা কারো থাকে না।
জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. নূর আলমের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে আপনাদের সবার অ্যাকাউন্টে একমাদের বকেয়া বেতন যোগ হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আরও এক মাসের বেতন যুক্ত হবে। এছাড়া আগামী মাস থেকে বকেয়া ও চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।
পরে তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ডিসি মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে ডিপো থেকে বাস নিয়ে বের হয়।
এ বিষয়ে জোয়ার সাহারা বিআরটিসি ডিপোর পরিবহন শ্রমিক সোহরাব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এতোদিন মানবেতর জীবন-যাপন করেছি। তাই আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন আমাদের বকেয়া বেতনের আশ্বাস পেয়েছি, তাই ধর্মঘট থেকে আমরা সরে দাঁড়িয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/