ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট, চাহিদা বাড়ছে শীতবস্ত্রের

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট, চাহিদা বাড়ছে শীতবস্ত্রের শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: উত্তরবঙ্গের বগুড়ায় শীত বাড়তে শুরু করেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের শীতবস্ত্রের চাহিদা ও বাড়ছে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেকেই ছুটছে শীতবস্ত্র কিনতে। 

শীতকে প্রাধান্য দিয়ে বগুড়ার শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে বাড়ছে সব বয়সী মানুষের ভিড়। এসব দোকান থেকে কম দামের পোশাক কিনে থাকেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।

বর্তমানে এসব দোকানে প্রচুর শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া রেলস্টেশন এলাকা  ও থানার মোড়ে অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকান বসানো হয়েছে। এসব দোকানে শীতের কাপড়ে ভরপুর। কমবেশি প্রত্যেকটা দোকানেই শীতের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। শীতের মাত্রা বাড়ায় এসব দোকানে ক্রেতা সাধারণের ভিড়ের মাত্রাও বেড়ে গেছে। অনেক দোকানে এক দামে পোশাক বিক্রি করছে বিক্রেতারা। আবার বেশির ভাগ দোকানে দর দাম করে পোশাক কিনছেন অনেকে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা বা তার অধিক দামের পোশাক বিকিকিনি হয় এসব দোকান গুলোতে। শীতবস্ত্র দেখছেন ক্রেতারা।  ছবি: আরিফ জাহান বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সামনে শীত আরও বাড়বে। এ কারণে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে।  
 
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে রোববার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

রোববার (৬ জানুয়ারি) রাতে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করেছে বলেও জানান আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রহিদুল।
 
শীতবস্ত্র বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শীত বাড়তে থাকায় আগের তুলনায় এখন তাদের বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে মোকাম থেকে। কয়েক সপ্তাহ আগেও মাঝারি মাপের একেকটি সোয়েটার রকমভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি করা হতো। এখন সেই মানের সোয়েটার ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে লাভ আগের মতোই হচ্ছে দাবি এ বিক্রেতার।  

শীতবস্ত্র কিনতে আসা এনামুল হক নামে এক কলেজছাত্র বাংলানিউজকে জানান, লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে হাতে তেমন টাকা পয়সা থাকে না। এছাড়া শীতবস্ত্রের দোকানে ভালো মানের পোশাক কম দামে পাওয়া যায়। শীত বাড়ায় তিনি এখান থেকে দু’টি সোয়েটার ৪৫০ টাকা করে কিনেছেন। শীত বাড়ায় পোশাকের দাম আগের তুলনায় খানিকটা বেশি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
 
বেলাল নামের অপর ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, শীতের পোশাক হিসেবে এখান থেকে তিনি একটি সোয়েটার ও একটি জিন্স প্যান্ট ক্রয় করেছেন। সোয়েটারের দাম পড়েছে ৪০০ টাকা আর প্যান্টের দাম ৬০০ টাকা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও এ মানের সোয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও প্যান্টের দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।