চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে গেলে কিছুদিন পর জুয়েলকে ঢাকায় কাস্টমসে চাকরির প্রলোভন দেন বন্ধু মুসা। জুয়েল রাজি হলে তাকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র পাঠান মুসা।
এই অপহরণের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) অভিযান নামে র্যাব-২ এর সদস্যরা। এরপর মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার ফাঁদ পেতে সেদিন রাতেই তেজকুনি পাড়া থেকে কুরবান আলীকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে উদ্ধার করা হয় অপহৃত জুয়েলকে।
আটক কুরবানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার এএসপি সাইফুল মালিক বাংলানিউজকে জানান, চাকরির কথা বলে জুয়েলকে কুরবান আলীর নিজের বাসায় নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণের জন্য মারধর করা হয়। হাতুড়ি ও ইলেকট্রিক তার দিয়ে চলে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেন জুয়েল।
অপহরণকারীরা জুয়েল আহম্মেদের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় জুয়েলকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর পরিবার র্যাব-২ এর কাছে অভিযোগ করে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিকাশে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে তেজকুনি পাড়া থেকে কুরবানকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে উদ্ধার করা হয় জুয়েলকে।
আটক কুরবান আলী প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন, তার বন্ধু মুসার যোগসাজশে এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।
আটক কুরবানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক মুসাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এএসপি সাইফুল মালিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
পিএম/এইচএ/