শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের চম্পক নগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীন তিনটি গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’দিন আগে স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সিয়ামকে কাকাইল মোড়ার লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চম্পক নগরের মঞ্জুরের বাড়িতে বিচার বসে। বিচারে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দা, টেঁটা, ছুরি, বল্লম নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়েন। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
সংঘর্ষে কাকাইল মোড়া ও বাহেরচরের পক্ষে নেতৃত্বে দেন লোকমান মেম্বার এবং চম্পক নগরের পক্ষে নেতৃত্বে দেন মোসলেম মেম্বার। সংঘর্ষে আহতদের আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মোসলেম মেম্বার বাংলানিউজকে জানান, সংঘর্ষ চালাকালীন কাকাইল মোড়া ও বাহের চর গ্রামের পাঁচ/ছয় শতাধিক লোক লোকমান মেম্বার ও তোফাজ্জলের নেতৃত্বে চম্পক নগর গ্রামে এসে তাণ্ডব চালান। এতে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় চম্পক নগরের বাজার থেকে দোকানপাট লুট করা হয়।
তিনি আরও জানান, চম্পক নগর গ্রামবাসীর প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মূলহোতা লোকমান মেম্বারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
আরবি/