মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) এক শোক বার্তায় এ শোক জানান তিনি।
শোক বার্তায় শিক্ষাবিদ ড. রফিকউল্লাহ বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ছিলেন বাংলাদেশের সংগীত জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র।
উপাচার্য মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বরেণ্য এ শিল্পী মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)।
১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মাত্র ১৫ বছর বয়সে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্যে’র মতো দেশাত্মবোধক গানগুলোতে তার দেওয়া সুর বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে এখনও সমান তালে স্পন্দন জাগায়।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩৫০টির মতো চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। এর মধ্যে ‘নয়নের আলো’, ‘দেশ প্রেমিক’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আম্মাজান’, ‘ইতিহাস’ উল্লেখযোগ্য।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএ