মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট ফর সেফ অরডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন’ শীর্ষক কর্মাশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অভিবাসন বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব সময় কথা বলেছে।
তিনি বলে, বৈশ্বিক রাজনীতিতে অভিবাসন বর্তমানে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু জিসিএম বাস্তবায়নে রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে, তাই আমাদের সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। যেন আমরা নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করতে পারি।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) চিফ অব মিশন এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর গিওরগি গিগাউরি বলেন, নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট সব স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে জিসিএম’র উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, জিসিএম আন্তর্জাতিক অভিবাসন উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই চুক্তির বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। একই সঙ্গে জিসিএম-এর মাধ্যমে যাতে মানবপাচার রোধ ও অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়া বাংলাদেশে জাতিসংঘ অভিবাসী নেটওয়ার্কের অধীনে মানবপাচার রোধে একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের পথচলা শুরু হয় এই কর্মশালার মাধ্যমে।
এছাড়াও কর্মাশালায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ মুনির সালেহীনসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে নিরাপদ অভিভাসন বিষয়ে তাদের মতামত উপাস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
আরকেআর/এএ