রোববার (০১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে সকালের দিকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আমিরকে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন জানান, নিহত আমির হাসপাতালের বহির্বিভাগের ক্যান্সার বিভাগে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বহির্বিভাগের সামনে ইব্রাহীম নামের এক কিশোর তাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তখন ইব্রাহিমকে ধরে ফেলে এবং শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে। সঙ্গে সঙ্গে আমিরকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন>> ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ঢামেক কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের ছেলে মো. মারুফ হোসেন বলেন, ১ সপ্তাহ আগে ইব্রাহীম হাসপাতালের বহির্বিভাগে ধূমপান করছিল। এইটা দেখে তার বাবা আমির হোসেন ইব্রাহীমকে ধমক দেয়। পরে ইব্রাহীমের মায়ের কাছে বিচার দেয়। এর জের ধরেই সকালে বাবা বহির্বিভাগ দিয়ে আসতেছিলেন তখন ইব্রাহীম ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
ঢামেক শাখার চতুর্থ শ্রেণির কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, নিহত আমির খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। বহির্বিভাগের ক্যান্সার বিভাগে তার ডিউটি ছিল। এই আমির সবার আগে ডিউটিতে ঢুকতেন এবং সবার শেষে বের হতেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যেন হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, একজন মাদক সেবীকে হাসপাতালে ভেতরে ধূমপান না করার জন্য নিষেধ করায়, ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমার কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ক্যানসার বিভাগের চিকিৎসকরা সকলে আমার কাছে ছুটে এসেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। আমিরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, আমিরের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এ আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওই মামলায় ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আর ক্রিকেট ব্যাটটি জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এজেডএস/এইচএডি/