নাগরিকরা বলছেন, তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, কীভাবে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হয়। কিন্তু আন্দোলন শেষ হওয়ার পর যেনতেন অবস্থা।
সড়কে দেখা যায়, আগের মতোই বিশৃঙ্খলভাবে গাড়ি চলছে। লেন মেনে গাড়ি চালায় না বাইক থেকে গাড়ি চালক কেউই। সড়কের মাঝখানে যাত্রী ওঠা-নামা আগের মতোই চলছে।
তবে সড়কে পরিবর্তনের লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, মোটরসাইকেলের প্রায় সব আরোহীর মাথায় এখন হেলমেট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর পুলিশ বাইক-আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার করানোর ব্যাপারে বেশ কঠোর হয়। বাইকচালকের পাশাপাশি পেছনের যাত্রীকেও হেলমেট পরতে বাধ্য করা হয়।
বাইকের ব্যাপারে পুলিশের কঠোর মনোভাবের কারণে এ পরিবর্তন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালক ওবায়দুল ইসলাম বলছিলেন, আন্দোলনের আগে হেলমেট নিয়ে এত চিন্তা করতাম না। কিন্তু এখন হেলমেট ছাড়া বের হই না।
বাইক যাত্রী শফিউল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণেই এ পরিবর্তন হয়েছে এবং মানুষ সচেতনও হয়েছে।
মো. আব্দুল্লাহ নামের এক যাত্রী বলেন, ট্রাফিক আইন মানার ক্ষেত্রে যতটুকু উন্নতি হয়েছে তার কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের। ওদের কারণেই পুলিশও অনেক সতর্ক থাকে।
ঢাকায় নিয়মিত বাইক চালান সাকিব। তিনি বলেন, হেলমেট না থাকলে রাস্তায় সার্জেন্ট ধরেন। এ ছাড়া এ ধরনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও তাদের হেলমেটে ছাড়া মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। যাত্রীরাও হেলমেট না থাকলে উঠতে চান না।
মোটরসাইকেলের বেশ কয়েকজন চালক জানান, হেলমেট অনেক বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে। কিন্তু আগে এটা জেনেও কেউ মানতে চাইতেন না। তবে এখন নিজ থেকেই সবাই সচেতন হয়েছেন। এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। হেলমেটের মতো সড়কের অন্য বিষয়গুলোতেও যদি প্রশাসন কঠোর হয়, তবে সবকিছুই মানুষ অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
টিএম/এইচএডি/