ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ভাঙচুরকৃত পুলিশের গাড়ি/ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সিএফসি ও ভিএক্স’র সংঘর্ষের ঘটনার পর রোববার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুলিশের ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি উভয় পক্ষ অস্বীকার করেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন ওয়াচ-টাওয়ারেও ভাঙচুর চালানো হয়। 

সিএফসি গ্রুপের নেতা আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি ও সুমন নাছিরকে কুপিয়ে আহত করে ভিএক্সের কর্মিরা। তবে ভিএক্স গ্রুপের নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

এদিকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ভিএক্স ও সিএফসির মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে থাকা পুলিশের পাঁচটি ও প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় ওয়াচ টাওয়ারেও ভাঙচুর চালায় তারা। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।

এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই নেতার উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তর না করলে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী গ্রুপ সিএফসি।

রেজাউল হক রুবেল বলেন, তাপস স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘট ঘোষণা করা হলো। কারন তাপস হত্যার সাথে জড়িতরাই আমাদের নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে। কাজেই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে।

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, গত ২৯ তারিখ আমাদের কয়েকজন কর্মীকে কোপানোর পর আমরা একটি মামলা দায়ের করি। এতে ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। তাই তারা এখন ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাছাড়া সিএফসির যে দু’জন আহত হয়েছেন, সেটা ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনা। তাদের সাথে এলাকার কারো সমস্যা থাকতে পারে। তাছাড়া গাড়ি ভাঙচুর এবং ক্যাম্পাস অস্থিতিশীলতার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দায়ী।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা সাংবাদিকদের বলেন, শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং চলমান  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুলিশের ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এমএম/টিসিএমএইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।