তারা বলেন, দেশে অনেক দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘৭ মার্চের ভাষণ: জানা-অজানা তথ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি তোলেন।
বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরীর তন্ময়ের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সম্পাদক নুরুদ্দিন খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আপিল বিভাগের (অব.) বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাংসদ ও লেখক মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সৈয়দ আবুল মকসুদ ও হারুন হাবীব।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাঙালিদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো- ইতিহাস ভুলে যায়, গুলে খায় ও বিকৃতি করে। তরুণ এই লেখকের বইয়ে অনেক তথ্য আছে ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে। সেদিন ১৮ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ১১০৮ শব্দের ভাষণ বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এত বড় জনসভা আর হয়নি। কোনোদিন হবেও না। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল জ্বালাময়ী। এটি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণ।
আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ। তাই ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
বইটির লেখক বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সস্পাদক মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার।
আলোচনায় আরও অংশ নেন মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, মিল্টন বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মিঠু, ফয়সাল আহসান উল্লাহ, হাফেজ ক্বারি মো. সাজ্জাদ হুসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
জিসিজি/এইচএডি/