ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বানারীপাড়ায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজমিস্ত্রী আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
বানারীপাড়ায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজমিস্ত্রী আটক

বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুরের একটি বাড়ি থেকে শাশুড়ি, মেয়ে জামাইসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জাকির হোসেন (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক জাকির ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার পূর্ব রায়পাশা এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী বলে জানা গেছে।

শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) তাকে আটক করে পুলিশ।

বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মরদেহগুলো যে বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক কুয়েত প্রবাসী আ. রবের ভবন নির্মাণের সময় রাজমিস্ত্রী জাকির কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তার সখ্যতা রয়েছে।  

শনিবার সকালে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুরের আব্দুর রবের বাড়ি থেকে তার মা মরিয়ম বেগম (৭০), মেজ বোন মমতাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফের (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

বাড়ির মালিক কুয়েত প্রবাসী আ. রবের স্ত্রী মিশরাত জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যে যার মতো খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন। ওই সময় ঘরে তিনিসহ তার দুই শিশু নূরজাহান (৪), ইশফাত (৯), দেবর হারুন অর রশিদের মেয়ে আছিয়া ওরফে আফিয়া, শাশুড়ি মরিয়ম বেগম (৭০), ননদ মমতাজের স্বামী শফিকুল আলম (৬০) ও শাশুড়ির বোনের ছেলে (দেবর) ইউসুফ ছিলেন। এরপর ভোরে ফজরের আজানের পর আফিয়ার চিৎকারে সবাই ঘুম থেকে ওঠেন।

আরও পড়ুন>>একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু: তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

নিহত মরিয়ম বেগমের নাতনি আছিয়া ওরফে আফিয়া বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দাদিকে ওঠাতে যাই। তখন দেখি দাদির রুমের বারান্দার দরজা খোলা এবং তার নিথর দেহ বারান্দায় পরে রয়েছে। এরপর চিৎকার দিলে বাড়ির সবাই আসেন কিন্তু ফুপা শফিকুল আলম ও চাচা ইউসুফকে দেখতে না পেয়ে তাদের খুঁজতে থাকি। তখন ঘরের অন্য একটি কক্ষে যেখানে ফুপা ঘুমাচ্ছিলেন, সেখানে গিয়ে তার মাথার অংশ খাটের বাহিরে দেখে সন্দেহ হয়।  

‘ডাকাডাকি করলে তিনিও কোনো সাড়াশব্দ করেননি। পরে চাচা ইউসুফকে খুঁজতে ছাদের দিক গেলে সেখানেও দরজা খোলা পাই, তবে কারো দেখা মেলেনি। এরপর বাড়ির বাইরে খুঁজতে শুরু করলে চাচা ইউসুফকে পুকুরের ঘাটলায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। ’ 

এদিকে কুয়েত প্রবাসী আ. রবের ছোটভাই হারুন অর রশিদ বলেন, আমার মেঝো বোন মমতাজের স্বামী শফিকুল ইসলাম দুইদিন আগে নিজ বাড়ি স্বরূপকাঠি থেকে এ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আবার দুইদিন পরে তার ঢাকায় যাওয়ার কথাও ছিল।

‘অপরদিকে পার্শ্ববর্তী দাড়ালিয়া এলাকা থেকে খালাতো ভাই ইউসুফ পেশায় একজন ভ্যানচলক। তিনিও এ বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় প্রায়-ই রাতে আমাদের বাড়ি থাকতেন। তাকেও হত্যা করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।  

এদিকে দুপুরে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।