পুলিশের দাবি, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে আটক করা হয়। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) রাজীব আল মাসুদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্দেভাজন হিসেবে সৈকতকে আটক করা হয়েছে। রুম্পা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের দুই ভবনের মাঝে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদেহ দেখে আশেপাশের লোকজন কেউ চিনতে না পারায়, শনাক্তের জন্য নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়।
তার বাবা হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক। বাবা হবিগঞ্জে থাকলেও মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার শান্তিবাগে থাকতেন রুম্পা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শারমিন দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরোনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে বেরিয়ে যান রুম্পা।
কিন্তু রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজনসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯/আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা
পিএম/এমএ