বেগম রোকেয়া দিবস, আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রম উপলক্ষে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হবে।
জেলার নয়টি উপজেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৫ জন নারীর আবদেন জমা পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
সোমবার এই পাঁচ নারীকে তাদের নিজ উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন জয়িতা সম্মাননা প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।
পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে এবার যারা সম্মাননা পাবেন, তারা হলেন- নিজ প্রচেষ্টায় অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাচুলী পাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সুমনা সুলতানা সাথী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে বিশেষ অবাদন রাখার জন্য সদরের কিসমত পোতাপপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মাজিদ সরকারের মেয়ে আহম্মেদ রফিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেলেনা খাতুন, সফল জননী হিসেবে সম্মাননা পাবেন ইশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মৃত মোজার আলীর স্ত্রী আমেনা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করায় চাটমোহর উপজেলার চক উথুলী গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের মেয়ে রোজিনা খাতুন এবং সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত নারী চেয়ারম্যান আম্বিয়া খাতুন।
সম্মাননা প্রদান বিষয়ে পাবনা মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কানিজ আইরিন জাহান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো জেলা পর্যায়ে পাবনা সদরসহ নয়টি উপজেলা থেকে ৪৫জন নারীর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে পাঁচজন নারীকে জেলা পর্যায়ে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হবে। তবে প্রতিটি উপজেলায় পাঁচজন করে নারী এই সম্মাননা পাবেন। আর জেলা পর্যায়ে বাছাই হওয়া বিশেষ পাঁচজনকে এবারে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হবে। এই পাঁচজন বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মানিত হবে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ বলেন, পাবনা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও পাবনা জেলা প্রশাসক সমন্বিতভাবে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে জেলা পর্যায়ে পাঁচজনকে জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করবে। নারীদের এগিয়ে যাওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ নেই। সেটি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএ/