সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।
ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন স্পেশাল জজ আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবের অর্থের পরিমাণ ৪২ কোটি টাকার মতো।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে এসব ব্যাংক হিসাব থেকে যাতে অর্থ স্থানান্তর করা না যায়, সে বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ বা ফ্রিজের মৌখিক আদেশ দিয়েছেন। তবে আদেশের লিখিত কপি এখনও আমরা পাইনি।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের করা ওই আবেদনে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও নিজ নামীয় হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছেন। তিনি বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
এছাড়া এলআর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অ্যাকাউন্টে ৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর হয়েছে। এটা মানি লন্ডারিং অপরাধ।
আবেদনে আরও বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী ইংল্যান্ডের নাগরিক। তিনি তার ব্যাংকে রক্ষিত ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থ উত্তোলনপূর্বক দেশের বাইরে পাচার করবেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৮ (সংশোধিত) ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ১৪ এর বিধান মতে, তার অপরাধলব্ধ অর্থের ব্যাংক হিসাব/এফডিআর ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা প্রয়োজন। ওই অর্থ স্থানান্তর হয়ে গেলে আইনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
ফ্রিজের তালিকায় বিডিনিউজের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৯টি এফডিআরে মোট ১৮ কোটি টাকা এবং তৌফিক ইমরোজ খলিদীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআরে ২৪ কোটি টাকার হিসাব রয়েছে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
কেআই/এমএ