ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেকার মানি না, দেশে কাজের অভাব নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
বেকার মানি না, দেশে কাজের অভাব নেই: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা: শিক্ষিত বেকার এখন আর স্বীকার করি না; যে কাজ করতে চায়, তার দেশে কাজের অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ কংগ্রেস-২০১৯’ শীর্ষক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কারা এখন শিক্ষিত? এমএ, বিএ পাস করলেই কী শিক্ষিত হয়? আমার মনে হয় না।

কিছু শিক্ষিত বেকার আছে। তারা নির্দিষ্ট কাজ ছাড়া কোনোকিছু করবে না। যে কাজে পরিশ্রম নেই, যে চেয়ারে বসে কাজ না করে পালিয়ে যাওয়া যায়, মাসের শেষে বেতন পাওয়া যায়, তারা ওই ধরনের কাজ চায়। এখন এই যুগে সেই কাজ আর চলে না। সুতরাং আমি শিক্ষিত বেকার এখনও স্বীকার করি না। যে কাজ করতে চায়, তার বাংলাদেশে কাজের অভাব নেই। সমস্যা হলো কোনটা কাজ, আর কোনটা কাজ না, এটা আমরা গুলিয়ে ফেলছি।

তিনি বলেন, কাজ বলতে আমরা মনে করি চাকরি, অফিসার, কেরানি। কাজ মানে কাজ, যেটা কিছু প্রডিউস করে। পরোক্ষভাবে বা প্রত্যক্ষভাবে। সে ধরনের কাজ যারা করতে চায়, তাদের জন্য বাংলাদেশে কাজের কোনো অভাব নেই। এখনও অনেকের মধ্যে এমন মনোভাব আছে ঢাকায় থাকেন কিন্তু সাভার গিয়ে কাজ করবেন না। ঢাকায় কাজ করবেন। অথবা নির্দিষ্ট প্রফেশন ছাড়া কাজ করব না। এখন এ ধরনের মনোভাব থাকলে হবে না। কাজ সম্পর্কে আমাদের ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে। কাজ মানে কাজ।

এমএ মান্নান বলেন, কেরানিদের দিন শেষ। এখন সবাইকে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে জেন্ডার বৈষম্য নেই। এটা নিয়েও বলার তেমন কিছু নেই। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বলার কিছু নেই। এখন চাই নারীর অংশগ্রহণ। এই হিসাবটা করি। নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দান-খয়রাতের সেই বাংলাদেশ এখন আর নেই। এখন এ দেশে দাতাগোষ্ঠী বলে কোনো কিছু নেই। আমরা এখন দাতাগোষ্ঠী কাউকে বলি না। আমাদের বন্ধু আছে। আমাদের অনেক সহায়তাকারী বিদেশি আছে। দাতা এটা গ্রহণযোগ্য নয়। দাতা-মাতা এসব বাদ দিতে হবে। এগুলো এখন অপমানজনক।

মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা, এটা যুগোপযোগী নয়। শিক্ষা খাতে অনেক ঘাটতি আছে। বিশেষ করে ২০২১ শতকের উপযোগী যে শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, সেখানে আমাদের প্রচুর ঘাটতি আছে। ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন স্টুডেন্ট কমিউনিটিতে মাত্র তিন শতাংশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিয়ে পড়াশোনা করছিল। এ মুহূর্তে শতকরা ১৮ ভাগ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়ালেখা করছে। আমরা যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব, আশা করছি, তখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করবে।  

সমাপনী অধিবেশনে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহমেদ, ইউএনডিপি মানবাধিকার কর্মসূচির প্রধান শর্মিলী রাসূল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএমআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।