মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধামরাইয়ে স্নোটেক্স আউটারওয়ারে সরেজমিনে দেখা যায়, সাত তলার ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন কর্মীরা। এখানে এক বসায় ১৪শ’ কর্মীর খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখানে তিন বছর ধরে কাজ করছি। আগে যেসব জায়গায় কাজ করেছি সেসব জায়গায় দুপুরে খাওয়ানো হতো না। এখানে ক্যান্টিনে দুপুরবেলা বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়। ক্যান্টিনে অন্য বেলায় খাবার কিনে খেতে হলেও কোনো বাড়তি মূল্য দিতে হয় না।
মাইক্রো বায়োলজিস্ট রাকিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কর্মীদের মধ্যে খাবার পরিবেশন করার আগে খাবারের মান পরীক্ষা করা হয় ল্যাবে। ১৫ মিনিটের মধ্যেই ল্যাব থেকেই পাওয়া যায় খাবারের রিপোর্ট। স্বল্প সময়ে খাবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে আনা হয়েছে মেশিন। এতে করে খুব সহজেই খাবারের মান পরীক্ষা করা যায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শেফ আব্দুর সবুর বলেন, এখানে খাবার জন্য গুণগতমানের মুরগির গোশত আনা হয় আফতাব মিট, ব্র্যাক ও কোয়ালিটি ফিড থেকে। শাকসবজি আনা হয় বাইপাল বাজার থেকে। প্রতিদিনের তরকারি প্রতিদিনই কেন হয়। কাজী ফার্ম থেকে আনা হচ্ছে মুরগির ডিম। ডিমের গায়ে সিল করা থাকে। বায়ার ও কর্মীদের জন্য রান্না করে থাকি। মূলত এখানে সকাল থেকে শুরু হয় দুপুরের খাবার রান্না।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (অপারেশন) জয়দুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একজন কর্মীর খাবার যদি আমরা ব্যবস্থা করি তাহলে সে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সময় পায় নিজের জন্য। এই সময়ে সে বিশ্রাম নিতে পারে অথবা ঘুমাতে পারে। আমরা এখানে কর্মীদের সতেজ খাবার সরবরাহ করি। এতে সে সুস্থ থাকে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের কাজে আরও অবদান রাখতে পারে কর্মীরা। মধ্যাহ্ন বিরতিসহ প্রতিদিনের কর্মঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টার বিরতি পান কর্মীরা। এসময় কর্মীদের বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সুবিধা রাখা হয়েছে স্নোটেক্সের পক্ষ থেকে।
সবজি ও ফুল বাগান, সবুজ মাঠ, খেলাধুলার জন্য প্লে-গ্রাউন্ডসহ আছে পুকুরপাড়। এছাড়া নারী কর্মচারীদের শিশুদের জন্য আছে শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র।
সারা লাইফ স্টাইল লিমিটেডে ও স্নোটেক্সের প্রধান উদ্যোক্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমার এখানে যারা কাজ করে তারা সবাই আমার পরিবারের সদস্যের মতো। এখানে ১৫ থেকে ১৮ বছরের পুরাতন কর্মী আছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীরা কাজ ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চায় না। আমরাও কর্মীদের সব সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করি। দেশের শ্রমিক আইন অনুযায়ী কর্মীদের জন্য এসব সুযোগ সুবিধা আমরা নিশ্চিত করেছি। কর্মীদের প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লভ্যাংশ দেওয়া হয়। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার ১৫ শতাংশ কর্মীদের দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি/