এ বর্বর হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী ঘৃণিত। ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে জাতির শ্রেষ্ঠ ওই সব শহীদ সন্তানদের।
এদের মধ্যে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দুই শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. আবুল খায়ের এবং শহীদ মুহাম্মদ ইয়াকুব মিয়াকে কাউখালীবাসী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। গোটা জাতি যাদের নিয়ে গর্ব করে সেরকম দুই কৃতি সন্তানের জন্ম পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায়।
কাউখালী উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামে শহীদ ড. আবুল খায়ের জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বাধীনতার একজন প্রবক্তা। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়াটার থেকে ধরে রায়ের বাজার (বধ্যভূমি) নিয়ে হত্যা করে। ৪ জানুয়ারি তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সমাহিত করা হয়।
আরেক বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ ইয়াকুব মিয়া কাউখালী উপজেলার পার সাতুরিয়া গ্রামের মিয়া বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শেরে বাংলা এ কে এম ফজলুল হক গভর্নর থাকাকালে তার একান্ত সচিব ছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দোসররা তাকে ঢাকার তোপখানার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে মোহাম্মদপুরের সাত গম্বুজ মসজিদের কাছে কাটাসুরের ইট খোলায় হত্যা করে। ১৯ ডিসেম্বর তার মরদেহ পাওয়া যায় এবং তাকে আজিমপুরে সমাহিত করা হয়।
কাউখালীর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম দ্বীন মোহাম্মাদ বলেন, এই ২ মহান স্বাধীনতাপ্রেমী সন্তানের জন্য কাউখালীবাসী গর্বিত। তবে দেশের নতুন প্রজন্ম তাদের চিনে না। বিশেষ করে আবুল খায়েরের জন্য এখানে নেই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ। আমারা এ সময় তাদের জন্য শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু দায়সারা ভাবে স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের দায়িত্ব সেরে ফেলি। বিষয়টি স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষ হিসেবে খুবই লজ্জাজনক বলে মনে করি।
কাউখালীর বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আব্দুল লতিফ খসরু জানান, দেশের এমন সব মহান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নতুন প্রজন্মের জানার জন্য সরকারি উদ্যোগে পাঠাগার বা স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ