স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে জেলার সারিয়াকান্দি থেকে মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে সড়ক পথে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ও ধুনট থেকে মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন খানের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা দল শেরপুর শহরে ঢুকেন। পরে শহরের অবস্থানরত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের ওপর একযোগে আক্রমণ চালানো হয়।
তুমুল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর শহরকে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত করে। আক্রমণের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা শহরের পাশের ঘোলাগাড়ী এলাকায় অবস্থান নেয়।
খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেও আক্রমণ চালায়। সময়ের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধারা ঘোলাগাড়ীসহ পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এসময় ওই এলাকার বেশকিছু স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
পর দিন ১৫ ডিসেম্বর পার্ক মাঠে আমান উল্লাহ খানের নেতৃত্বে (বর্তমানে টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অনার্স কলেজ) স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
কেইউএ/আরবি/