শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের বংশাল রোডে (সুতারপাড়া এলাকা) ঝটিকা অভিযান চালিয়ে এসব সুতা জব্দ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস বন্ডের উপ-কমিশনার রেজভী আহম্মেদ, সহকারী কমিশনার মো. আল আমিন ও সহকারী কমিশনার আকতার হোসেনের সম্মিলিত টিম।
সহকারী কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মো. আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে শুরুতেই গুদাম মালিকরা পালিয়ে যায় এবং পরে সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে অভিযান প্রতিহত করার চেষ্টা করে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি বলেন, অভিযানে সুতারপাড়া এলাকার একটি ভবনের গোপন গুদাম থেকে কোরিয়ান ও ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় ২২ টন স্প্যান্ডেক্স ও পলিয়েস্টার-কটন সুতা উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্য বন্ড সুবিধার আওতায় শুল্কমুক্ত আমদানি করে রপ্তানিতে ব্যবহারের পরিবর্তে অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। জব্দ পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা, যার বিপরীতে প্রযোজ্য শুল্ক-করাদির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের যে প্রান্তেই অবৈধ বন্ডেড পণ্য পাওয়া যাবে, তাৎক্ষণিক তা জব্দ ও মূলহোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসির নির্দেশনায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত টাস্কফোর্স গত ১৩ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অভিযান চালিয়ে দু’টি গুদাম থেকে মোট ৩৮ টন এবং গত ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে অভিযান চালিয়ে মোট ১০ টন অবৈধ বন্ডেড সুতা আটক করে। অবৈধ বন্ডেড ও চোরাই বিদেশি সুতার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানের ফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন দেশীয় টেক্সটাইল-স্পিনিং শিল্প মালিক, বিটিএমএ ও সৎ ব্যবসায়ীরা। অভিযানে একদিকে যেমন অবৈধ বিদেশি সুতার ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের বাজার ক্রমাগত সুসংহত হচ্ছে বলে মত তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
জিসিজি/একে