রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কীর্তনখোলা নদীতে নৌ-দুর্ঘটনার স্থান ও দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান দু’টি পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
মাহাবুব-উল ইসলাম বলেন, নৌ-দুর্ঘটনার পরপরই আমরা লঞ্চের যাত্রী ও কার্গোর ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধার করেছি।
তবে কার্গোটিতে সিমেন্ট তৈরির ১২০০ মেট্রিক টন ক্লিংকার রয়েছে এবং কার্গোটির ওজন আরও ৬০০ মেট্রিক টন। সবমিলিয়ে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার পর এর ওজন দুই হাজার মেট্রিক টনের ওপরে গিয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্ধারকারী নির্ভীক জাহাজের উত্তোলন ক্ষমতা ২৫০ মেট্রিক টন। এরকম দু’টি জাহাজ বিআইডব্লিউটিএ’র থাকলেও তা দিয়ে কার্গোটি তোলা অসম্ভব। তাই এখন বিকল্প ব্যবস্থায় কর্গোটি উদ্ধার করা হবে।
তিনি বলেন, এখন কার্গোর ভেতরে থাকা ক্লিংকারগুলো বিকল্প ব্যবস্থায় অপসারণ করা প্রয়োজন। আমরা কর্গোর মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের এক মাসের সময় দেবো যাতে তারা নিজ উদ্যোগে কার্গোর ভেতরে থাকা ক্লিংকার অপসারণ করে নৌযানটি উদ্ধার করতে পারে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে মালিক পক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা আইন অনুযায়ী এটিকে নিলামের মাধ্যমে বা যে মাধ্যমে হোক নদী থেকে তুলে ফেলবো।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, শীত মৌসুম হওয়ায় এখন নদীতে কম পলি পড়ে আবার জাহাজটি পুরোপুরি ডুবেও যায়নি, কিছু কিছু অংশ পানির ওপরে রয়েছে। এসব কিছুই কার্গোটি উদ্ধার কাজকে কিছুটা সহজ করে দিয়েছে। পাশাপাশি কার্গোটি মূল নৌ-চ্যানেলের পাশে রয়েছে। তাই নৌযান চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। যেখানে কার্গোটি ডুবেছে সেখানে গভীরতা ২৬ ফুট থাকলেও মূল চ্যানেলের কয়েকগুণ বেশি পানি রয়েছে। আবার মূল চ্যানেলের প্রশস্তও ১৫০০ মিটারের মতো। ফলে নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচল করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডুবে যাওয়া কার্গোটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নদীর এ স্থানে রাখা হবে না।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চটি প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে আসা অ্যাংকর সিমেন্টের ১২০০ মেট্রিক টন ক্লিংকারবাহী এমভি মো. দুদু মিয়া (রা.)-১ নামের একটি কার্গোর সঙ্গে লঞ্চটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চের সামনের অংশের তলা ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সিমেন্ট তৈরির ১২০০ মেট্রিক টন উপাদান (ক্লিংকার)বাহী কার্গোটি নদীতে ডুবে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএস/আরবি/