রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে পরামর্শ, সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নৌসচিব আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের নদ-নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কাউকে প্রতিপক্ষ নয়, সবার বৃহত্তর স্বার্থে নদী দখলমুক্ত করতে শক্তিপ্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য শোধিত বর্জ্য ফেলতে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নদীর নাব্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। এজন্য নদীতীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ শুরু করেছি ২০১০ থেকে। সার্ভে করেই আমরা কাজ করছি। কাউকে উচ্ছেদ করছি না। এটা আমাদের সমন্বিত কাজ।
দখলদারদের তালিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষা কমিশন সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি বই করেছে। এখন এটার ওপর মন্তব্য করার সুযোগ সবারই আছে। এটা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে সেটা জানানোর সুযোগও আছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করবো। কাউকে জোরপূর্বক অপরাধের জায়গায় নিতে চাই না। কারও প্রতি অবিচার করা হবে না।
দখল হওয়া খাল উদ্ধারের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে একটি কার্যক্রম শুরু করেছি। সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দখল হওয়া খাল বা বক্স কালভার্ট উদ্ধার করা হবে। যতই কঠিন হোক না কেন, এ পথ অতিক্রম করবো। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
জিসিজি/একে